...

Somapura Mahavihara

Somapura Mahavihara: Ruins of the Buddhist Vihara at Paharpur, Joypurhat, 54, BD

Somapura Mahavihara in Paharpur is the Second Largest Single Buddhist Monastery on South of the Himalayas

Historical places are an official location where pieces of political, military, cultural, or social history have been preserved due to their cultural heritage. These may be any building, landscape, site or structure that is of local, regional, or national significance. These historical places are usually protected by law of the government.

পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহার হিমালয়ের দক্ষিণে দ্বিতীয় বৃহত্তম একক বৌদ্ধ বিহার

ঐতিহাসিক স্থানগুলি হল একটি সরকারী অবস্থান যেখানে রাজনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক বা সামাজিক ইতিহাসের অংশগুলি তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এগুলি স্থানীয়, আঞ্চলিক বা জাতীয় তাত্পর্যের যে কোনও বিল্ডিং, ল্যান্ডস্কেপ, সাইট বা কাঠামো হতে পারে। এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো সাধারণত সরকারের আইন দ্বারা সুরক্ষিত থাকে।

Paharpur Bihar

Location of Somapura Mahavihara:

Somapura Mahavihara situated in Paharpur, Naogaon, Bangladesh. It is one of the best known viharas, monasteries, in the Indian Subcontinent. It is also one of the most important archaeological sites in the country. The Bengali name is সোমপুর মহাবিহার  and romanized: Shompur Môhabihar. It is also one of the earliest sites of Bengal. Here significant numbers of Hindu statues were found. In 1985 it was designated as a UNESCO World Heritage Site.

সোমপুর মহাবিহারের অবস্থান:

বাংলাদেশের নওগাঁর পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর মহাবিহার। এটি ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে পরিচিত বিহার, মঠগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বাংলা নাম সোমপুর মহাবিহার এবং রোমানাইজড: শোমপুর মহাবিহার। এটি বাংলার প্রাচীনতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হিন্দু মূর্তি পাওয়া গেছে। 1985 সালে এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত হয়েছিল।


পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার।

খননে উম্মুক্ত পাহাড়পুরের ধংসাবশেষ বাংলাদেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধ্বংসাবশেষ হিমালয়ের দক্ষিণে সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ বিহারের পরিচয় বহন করছে। যুগ যুগ ধরে এ ধংসাবশেষের উপর বায়ু বাহিত ধুুলা বালি ক্রমান্বয়ে জমে এক বিশালাকার উচু ঢিবি বা পাহাড়ের রূপ পরিগ্রহ করে। সম্ভবত এভাবেই এ স্থানের নাম হয় পাহাড়পুর। ১৯২৩ খ্রিঃ হতে ১৯৩৪ খ্রিঃ পর্যন্ত সময়ের খননের ফলে এখানে একটি গুপ্ত যুগের তাম্রশাসন (৪৭৯ খ্রিঃ) সহ প্রস্তর লিপি, প্রস্তর ও ব্রোঞ্চ ভাস্কর্য, পােড়ামাটির ফলক চিত্র, উকীর্ণ লিপিযুক্ত রৌদ্র তাপে শুকানাে মাটির সিল, অলংকৃত ইট, বিভিন্ন ধাতব দ্রব্যাদি, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির তৈরি বিভিন্ন পাত্র ইত্যাদি প্রচুর প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া যায়।

উকীর্ণ লিপিযুক্ত মাটির সিলের পাঠোদ্ধার হতে জানা যায় যে, এ বিহারের প্রকৃত নাম ছিল সােমপুর মহাবিহার। এ মহাবিহার পাল বংশীয় দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল (৭৭০-৮১০ খ্রিঃ) কর্তৃক নির্মিত। উল্লেখ্য যে,  ১৯৮২ খ্রিঃ এবং পরবর্তী সময় পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কতিপয় ভিক্ষুকক্ষে গভীর খননের ফলে নিম্ন আবাস স্তরে একটি পােড়া মাটির মূর্তির মাথা, একটি তন্ত্র মুদ্রা ও অন্যান্য কতিপয় প্রত্ন দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। এ সমস্ত প্রত্ন দ্রব্যাদি বিশেষত পােড়া মাটির মূর্তির মাথাটি গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্যের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। আলােচ্য প্রত্ন নিদর্শন ব্যতিরেখে ও বৃহদাকারের কক্ষ বিশিষ্ট (১৬’X১৩’-৬’) একটি ইমারতের ধ্বংসাবশেষ উক্ত খননে উন্মুক্ত হয়।

বৃহদাকারের এ ইমারতটি পাহাড়পুর তাম্র শাসনে উল্লেখিত জৈন বিহার বলে অনুমিত। এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও গভীর খনন, অনুসন্ধান ও সমীক্ষা অত্যাবশ্যক। পাহাড়পুর বিহার উত্তর-দক্ষিণে ৯২২ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১১৯ ফুট। বিহারের উত্তর বাহুর মধ্যস্থলে অবস্থিত প্রধান ও আকণিীয় প্রবেশ পথ। বিহারের উক্ত আঙ্গিনার চতুপার্শে চার বাহুতে ১৭৭ টি ভিক্ষু কক্ষ আছে। অঙ্গনের কেন্দ্রস্থলে সুউচ্চ মন্দির ও উহার অন্যান্য স্থানে বহু সংখ্যক নিবেদন স্তুপ, কেন্দ্রীয় মন্দিরের অনুকৃতি, ছােট মন্দির, কুপ, রান্না ঘর, ভােজনশালা, ছােট ছােট মন্দির ও অন্যান্য অট্টালিকার সমাবেশ খুবই চমৎকার।

আকর্ষণীয় মন্দিরটি কুশাকৃতি এবং ধাপে ধাপে উচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। পােড়া মাটির ফলক চিত্র দ্বারা মন্দিরের বহিসেয়াল মুখ সুশােভিত করা হয়েছে। ৯ম শতাব্দীর শেষ পর্ব হতে শুরু করে কতিপয় বিদেশী রাজাগণ এবং দিব্য নামে এ দেশীয় এক কৈবর্ত সমস্ত নরপতি কর্তৃক পাল সাম্রাজ্য বারবার আক্রান্ত হয়। এভাবে পূনা আক্রমনের ফলে সােমপুর বিহারের যথেষ্ট ক্ষতি সাধিত হয়। প্রায় একই সময় বঙ্গাল সৈন্যগণ পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির পুড়িয়ে দেন। খ্রিস্টীয় ১২ শতকে বাংলাদেশ সেন রাজাদের হস্তগত হয়। সেন রাজাগণ ব্রাক্ষণ্য ধর্মের গোঁড়া সমর্থক ছিলেন। এভাবে রাজকীয় পৃষ্টপােষকতার অভাবে পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির ক্রমে ক্রমে পরিত্যক্ত হয়। ভিক্ষু ও পূজারীগণ পাহাড়পুর ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যান।

 PAHAPUR BUDDHIST MONASTERY

The Excavated remains at Paharpur are highly important in Bangladesh. These represent the largest known Buddhist Monastery South of the Himalaya. The Gradual Deposition of wind-blown dust over these ruins for ages took the shape of a high mound or a hill. Hence the name of the place has probably become Paharpur. Excavations conducted here from 1923 AD to 1934 AD yielded a huge number of antiquities. Including one inscribed copper plate of gupta (479 AD) stone inscriptions stone and Bronze sculptures, terracotta Plaques, inscribed clay sealings ornamental bricks, metal objects, different earthen objects and silver coins.

Form the reading of a number of inscribed clay sealings, it is learnt that original name of this monastery was Somapura Mahavihara (Great monastery) and it was built by Dharmapala (770-810 AD) the 2nd pala emperor. It is mentioned that in the year 1982 and later deep digging was conducted in some cells of Paharpur monastery. As a result of digging one terracotta image head, one copper coin and some other antiquities were found at lower occupation levels. These antiquities particularly the terracotta image head resembles the features of gupta sculptures. Besides these antiquities the ruins of a vast building having larger rooms (one room 16’x13’-6’) had brought to light.

This building may be the Jaina vihara mentioned in Paharpur copper plate. In order to ascertain the feature further deep digging investigation and study are necessary. Paharpur monastery measures 922 feet north-south by 919 feet east-west having its elaborate gate-way in the middle of the northern wing. It has 177 cells in its four wings around an inner courtyard. The existence of the lofty temple in the middle of the courtyard, numerous votive stupas, miniature models of the central temple. Chapels, small temples, kitchen, and ancillary buildings are very beautiful.

The imposing central temple is cruciform in shape and built high in terraces. The outer faces of the walls of the temple are decorated by terracotta plaques. From the last quarter of 9th century onward the Pala Emire was repeatedly attracted by some foreign kings and one native Kaivarta chiel named Divya. Due to repeated attacks Somapura Mahavihara suffered greatly about the same time Paharpur monastery and temple were burnt by Bangla army. In 12th century Bengal passed over to the sena kings who were blind supporters of Brahamnism. Thus for want of royal patronage Paharpur monastery and its temple were gradually abandoned. The monks and worshippers deserted Paharpur and went to some other places.

বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত পাহাড়পুর বিহার বা সােমপুর মহাবিহার বিবিধ কারণে সার্বজনীন গুরুত্ব বহন করে। এর ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অপরিসীম যা পাল রাজবংশের কয়েক শতাব্দীর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসকে বিবৃত করে। বিশাল আয়তনের এই স্থাপনার চর্তুদিকে ভিক্ষু কক্ষ, বিস্তৃত প্রবেশ পথ, নিবেদন স্তুপ, ছােট ছােট মন্দির ও সংলগ্ন অন্যান্য নিদর্শনকে ছাড়িয়ে রয়েছে। স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সুউচ্চ একটি কেন্দ্রীয় মন্দির। বৈশিষ্ট্যমন্ডিত এই মন্দিরের স্থাপত্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশেষ করে মায়ানমার ও জাভার মন্দির স্থাপত্যকে অত্যন্ত প্রভাবিত করেছে। সে হিসাবে এর স্থাপত্যিক বৈশিষ্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Paharpur monastery or somapur mahavihara, inscribed on the world heritage list, is of outstanding universal significance due to several factors. The site is historically and archaeologically very important which presents the socioeconomic, political, and cultural history of several centuries of the Pala dynasty.

The gigantic establishment with monastic cells, impressive gateway, votive stupas, minor chapels, and multitude of other structures is dominated by a central shrine conspicuous by its lofty height and other architectural peculiarities. This type of temple architecture profoundly influenced the architectural efforts of south East Asia specially Myanmar and java. So the architectural features also of the site are highly significant.

 Paharpur

পাহাড়পুর সংলগ্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত উল্লেখযোগ্য মূর্তি

বেলে পাথরের চামুণ্ডা মূর্তি, লাল পাথরের দণ্ডায়মান শীতলা মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণুর খণ্ডাংশ, কৃষ্ণ পাথরের দণ্ডায়মান গণেশ, বেলে পাথরের কীর্তি মূর্তি. দুবলহাটির মহারাণীর তৈলচিত্র, হরগৌরীর ক্ষতিগ্রস্ত মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের লক্ষ্ণী নারায়ণের ভগ্ন মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের উমা মূর্তি, বেলে পাথরের গৌরী মূর্তি, বেলে পাথরের বিষ্ণু মূর্তি, নন্দী মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের বিষ্ণু মূর্তি, সূর্য মূর্তি, কৃষ্ণ পাথরের শিবলিঙ্গ, বেলে পাথরের মনসা মূর্তি

Notable statues preserved in the museum adjacent to Paharpur

Chamunda statue of sandstone, Shitala statue standing on red stone, Vishnu fragments of black stone, Ganesha standing on black stone, Celebrity sandstone statues, Oil painting of the Empress of Dubalhati, Damaged statue of Hargauri, Broken idol of Lakshni Narayan in black stone, Uma idol of black stone, Gauri statue of sandstone, Vishnu statue of sandstone, Nandi idol, Vishnu stone idol of Krishna, Sun idol, Shivling of black stone, Manasa idol of sandstone.

Paharpur vihara

পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে পোড়ামাটির ফলক

উক্ত মুন্দিরটির গাত্রদেশে নানা রকমের পোড়ামাটির ফলক পরিলক্ষিত হয়। মন্দিরের বাইরের প্রাচীরটি অলঙ্কৃত ইট এবং পোড়ামাটির ফলকের ব্যান্ড দিয়ে সজ্জিত যা প্রাণীজগত, উদ্ভিদ এবং মূর্তিকে চিত্রিত করে।

Terracotta plaques at Paharpur Buddhist Monastery

Various types of terracotta plaques are observed in the face of the temple. The outer wall of the temple is decorated with ornamental bricks and bands of terracotta plaques which depict fauna, flora, and figurines.

বন্ধ-খোলার সময়সূচীঃ

গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। রবিবার সাধারণ ছুটি এবং সোমবার বেলা  ২.০০ থেকে  পাহাড়পুর জাদুঘর খোলা থাকে। এছাড়াও সরকারী কোন বিশেষ দিবসে পাহাড়পুর জাদুঘর খোলা থাকে ।

Closing-opening schedule:

In summer, the fort is open from 10 am to 6 pm. In the middle, it is closed for half an hour from 1 pm to 1.30 pm. And in winter it is open from 9 am to 5 pm. Even in winter it is closed from 1 pm to 1.30 pm. And it is always closed for Friday prayers from 12:30 to 3:30. The Paharpur Museum is open on Sundays for general holidays and Mondays from 2.00 pm. The Paharpur Museum is also open on special official days.

ভ্রমণের সেরা সময় শীতকালে সকাল বা বিকেলে।

The best time to visit is in winter at the morning or afternoon.

Website: http://www.archaeology.gov.bd/site/page/38234055-ebda-4f76-bccd-76dd2eca7577/

ঠিকানা:
সোমপুরা মহাবিহার
পাহাড়পুর প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর
জামালগঞ্জ পাহাড়পুর রোড
পাহাড়পুর বাংলাদেশ

Address:
Somapura Mahavihara
Paharpur Archaeological Museum
Jamalganj Paharpur Road
Paharpur Bangladesh

প্রবেশদ্বার জন্য মূল্য নির্ধারণ:
আন্তর্জাতিক দর্শক: ২০০ জন
বাংলাদেশী দর্শক: ২০ টাকা

Pricing for Entrance:
International visitor: To 200
Bangladeshi visitor: Tk 20

Related Posts

No Results Found

The page you requested could not be found. Try refining your search, or use the navigation above to locate the post.

Seraphinite AcceleratorOptimized by Seraphinite Accelerator
Turns on site high speed to be attractive for people and search engines.